ইরানের পর এবার সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন শনাক্ত করা হয় এবং রয়টার্সের মতে, দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়।
আল জাজিরা বলছে, ‘গ্রিনিচ মান সময় প্রায় ১২:৩০ টায়’ ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা গেছে, এরপর ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘আকাশেই ওই ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়’।
ইসফাহানে প্রদেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ একটি বিমান ঘাঁটি ও বেশ কয়েকটি সামরিক স্থান রয়েছে। ইসরায়েলে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানা যায়নি। তবে ইরানি মিডিয়া বলছে, তাদের সব পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদ রয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং পেন্টাগন এখন পর্যন্ত এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এর আগে,গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলায় দেশটির সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন। এর মধ্যে সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের এলিট কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছিলেন। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন চালায় ইরানের দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। মিত্র দেশগুলোসহ ইরানের ছোঁড়া ৩০০টির অধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করে বলে জানায় ইসরায়েল।
সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। এরপর পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় ইসরাইলে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলো ইরানে পাল্টা হামলা না চালানোর অনুরোধ করেছিল ইসরাইলকে।
Be the first to comment