সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) করা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এ সময় কিছু ছাত্রলীগেরকিছু নেতাকর্মী হেলমেট পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পেটান বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ৫০ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাবি ভিসি চত্বরের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়। পরে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সরে যান।
এর আগেআজ দুপুর ১টা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। একই স্থানে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।
এর আগে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমাদের ভাই-বোনেরা মাঠে নামা শুরু করেছে। আপনারা বিশ্বাস করেন কি না ৫৬ শতাংশ কোটা উন্নত বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্দেশে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যা বলেছেন, তা আমাদের আশাহত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সব দাবি নির্বাহী বিভাগ, আইনসভার কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। দাবি বাস্তবায়নে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি গতকাল যা বলেছেন, এতে আমাদের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যেই ফ্রেমিংই করা হোক না কেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার। আমরা তপ্ত দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে লড়াইয়ের জন্য আসিনি। আমরা এসেছি পড়াশোনা করার জন্য, তাই আমরা যেন পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি সরকারকেই সে ব্যবস্থা করতে হবে।’
আর দুপুরে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সুস্পষ্ট করে আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলছি তারা (আন্দোলনকারীরা) সীমা লঙ্ঘন করেছে। সীমা লঙ্ঘনকারীদের কীভাবে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হয়, ছাত্রলীগের তা জানা আছে।’
Be the first to comment