স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করলেন কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ওএসডি হয়েছেন আলী আকবর খান। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন তার স্ত্রী শেহেলা পারভীন। তবে স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করলেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি তিনি এ দাবি করেন। তার আগে ডিবি কার্যালয়ে তাকে তিন ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর খান বলেন, ‘আমার স্ত্রী কোনো ভুল করেছে কি না, আমি জানি না। আমি তার বিষয়ে কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা তার কাছে কী তথ্য পেয়েছে সেটিও জানি না। আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।’

তাহলে আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।’

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।’

২০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আকবর খান বলেন, ‘এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।’

কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কতগুলো হয়েছে।’

এর আগে গত শনিবার মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তার আগে গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*